শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন! Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন!

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন!




ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি সই হয়েছিল ভারতের। এই চুক্তির বিভিন্ন ধারা ইঙ্গিত করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারি মামলার বিচার করতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে মত দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ইকোনমিক টাইমসে এ সংশ্লিষ্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের সূত্র ধরে বলা হয়েছে, বিএনপি ভারতের কাছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ কার্যকর করা যাবে না।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত প্রত্যর্পণ চুক্তির ৬ নম্বর ধারাটিকে নির্দেশ করেছেন। এই ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে, যদি রাজনৈতিক চরিত্রের কোনো অপরাধের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

চুক্তির ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যে দেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হবে, সেই দেশ এটি প্রত্যাখ্যান করতে পারে, যার প্রত্যর্পণ চাওয়া হয়, তাকে যদি সেই দেশের আদালতে প্রত্যর্পণ অপরাধের বিচার করা যেতে পারে।’

এছাড়া চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রত্যর্পণ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ আছে। ৮ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘ক’ ধরায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না যদি তিনি অনুরোধ করা রাষ্ট্রকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে প্রত্যর্পণ করা অন্যায্য বা নিপীড়নমূলক হবে।

এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচিত হবে। যেমন অপরাধের তুচ্ছ প্রকৃতি, যেটির জন্য প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যদি তিনি এটি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয় বা বড় আকারে বেআইনি হয়ে ওঠে। তৃতীয়ত, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি, এমন প্রতীয়মান হলে।

৮ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘খ’ ধারায় বলা হয়েছে, যে অপরাধের জন্য ব্যক্তিকে অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা যদি একটি সামরিক অপরাধ হয়ে থাকে, যা সাধারণ ফৌজদারি আইনের অধীনেও অপরাধ নয়। এ ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD